নিত্য বিচ্ছিন্ন হয় মৃত কোষাগার

শুক্রবার, ৯ মে, ২০১৪

কোন শাখা প্রশাখা নেই, ঠাই দাড়িয়ে শুধু শুকনো কাণ্ড-
পরগাছা নিয়েছে আশ্রয় তাই এখানে বাতাস আজও জীবন্ত।
রোদ্দুর, ঝরা বাদল আজও আসে এখানে, দেখে যায় তারুণ্য,
অগোচরে থেকে যায় একটি শেষ গল্প- মৃত কাণ্ডের বৃত্তান্ত।
অন্ধকারের দেয়াল এখানে নিশ্চুপ, শুধু কথা বলে জোনাকি,
বেদনায় নীল হয়ে জ্বলে জ্বলে নিভে যায়, পেরিয়ে যায় রাত-
তবুও- গল্পের ইতিতে হয় পুনঃরাবৃতি, আবার নতুন আলো
তবে সে আলো আসে জ্বালাতে, নিঃশেষে বিলীন অন্তরাত্মা।
ক্ষয়িষ্ণু নিষ্প্রাণে চিড় ধরে, নিত্য বিচ্ছিন্ন হয় মৃত কোষাগার,
শুধু -ধ্রিয়মাণ আলো, বাতাসের গন্ধ জড়ানো থাকে শরীরে।।

ইচ্ছের সাথে আলাপন

সংগত কারন কিংবা উপলক্ষের বাইরে হঠাৎ-
সদ্য জন্ম নেওয়া ইচ্ছের সাথে কথা বলি একান্তে ।
আমি স্বাধীন নাকি পরাধীন ? প্রশ্ন জেগে ওঠে মনে,
অদ্ভুত তাড়নায় অস্থির হয়ে ওঠে হৃৎপিণ্ডের মধ্যভাগ।

আমি ক্লান্ত নই তবুও ক্লান্তির ছায়ায় আমি নিবিষ্ট,
আক্ষেপে কেটে যাচ্ছে কাল, ক্রমন্বয়ে ঘড়ির কাঁটা।
দিগ্বিদিক দুরন্ত,দুর্বার শুধু আমার চোখে নীরবতা,
বান আসা নদীতে পড়েছে ভাঁটা, জেগেছে নব চর।

শুন্য আকাশ যেন ফাটা বুকে মেলে আছে ডানা,
নিভে গেছে দ্বীপ, থেমে গেছে সব পূজা-আরাধনা।
ক্ষণজন্মা শিশিরের হয়েছে মৃত্যু,শোকে কাঁদে না কেউ,
উপলব্ধির আবাসে ঢুকেছে ছেঁড়া মেঘ, আলো নেই ।

কোথাও কি আলো আছে? নাকি সবই অন্ধকার?
তবে কি সূর্য হয়েছে মিথ্যে? নাকি সেও পলাতক?
উড়ে চলা পাখি নেই কোথাও, ফুলগুলো সব মৃত,
ব্যর্থ হয় স্পর্শের অভিলাষ, দুহাতে জড়ানো বেড়ি।
ঘুরছি চক্রাকারে বুঝিনি এই আমি এত দিনেও-
পালানোর পথ নেই, চারিদিকে পুরনো ইচ্ছের লাশ।

দোলাচল

শনিবার, ৩ মে, ২০১৪

এখানে লাশ, ওখানে উল্লাস, যেন দ্বৈত দৃশ্যের অবতারণ,
কোথাও ব্যস্ততা, কোথাও নিরবতা, কোথাও-বা আর্তনাদ।
মাতাল প্রচেষ্টা, আকাঙ্খা-আক্ষেপ, নিয়তির নির্ণেয় ব্যর্থতা-
অস্বস্তিবোধ আবার স্বস্তির নিঃশ্বাস যেন ভগ্ন সরল ব্যকারন।
কখনও প্রত্যাশিত আবার কখনওবা অপ্রত্যাশিত ঘটনা-
বাতাসে দোলে সত্য-মিথ্যার পেন্ডুলাম, ক্ষয়িষ্ণু ক্রান্তিকাল।
মার্জিত-অমার্জিত ভাষা কিংবা অপভাষায় বিদ্ধ সম্পর্ক -
ধুলো মাখা রাস্তায় পড়ে থাকে ঝরা পাতা, ভেজা জোছনা।
-আংশিক প্রকাশ।