শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
একটি কবিতা লিখব বলে সহসা নির্ঘুম সময় কেটে যায়,
মস্তিস্কের চোরাগলি পথে হয় শব্দ কথার বিক্ষিপ্ত সমাগম।
পৃথিবীর মোহজাল আমাকে ভাবায় প্রেম নিয়ে-
আমি লিখি স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা আর সহস্র আকুলতার কথা,
কিন্তু বিবেক সম্মুখে এসে দাড়ায়, জিজ্ঞাসু কণ্ঠে বলে-
কি লেখ কবি, স্বপ্নময় রুপকথা? প্রেমের কবিতা?
আমি উত্তরে বলি হ্যাঁ, কেননা প্রেম অমর, শাশ্বত।
বিবেক তাচ্ছিল্লের হাসি হেসে বলে-
তুমি বোকার স্বর্গে আছো কবি, আছো মোহে, বিবভ্রমে।
বর্ণিল স্বপ্নের ভগ্ন রুপ কি তুমি দেখনি? দেখনি মরিচিকা?
নিযুত উপমায় যে নারীকে নিয়ে এত লেখা সেকি শুদ্ধ,পবিত্র?
শুধু শুদ্ধলিপি কেন পূজা কর? পড়োনি কালিমার স্বরলিপি?
হে কবি-
তুমি কি তৃষ্ণার্ত প্রেমিক? তুমি কি ছলনাময়ী নারীর পূজারী?
নাকি তুমি বিক্রি হওয়া মেরুদণ্ডহীন পুরুষ আথবা উন্মাদ?
যদি শুদ্ধতা থেকে থাকে তা আছে শুধু ঈশ্বরের বুকের অভিধানে।
ভেবে দেখ কবি আর একটি বার।
সঙ্কুচিত হল ভুরু তারপর নত হয়ে এলো মাথা আমার,
অবনত মস্তকে কম্পিত কণ্ঠে আমি প্রশ্ন করি কে তুমি?
আমি বিবেক! আমি তোমার সত্য অস্তিত্ব, তোমার পূর্ণ-
আত্মা-স্বত্বার অটুট কেন্দ্র। দেহামনে আমি সদা জাগ্রত।
আমার বিদ্রূপে তুমি নিশ্চুপ থেকনা বসে , জেগে ওঠো-
জেগে ওঠো হে কবি-
তুমি সৃষ্টির কথা বল,তুমি একক, মৌলিকতার কথা বল,
তুমি সৃষ্টিচারী একেশ্বর,পরমেশ্বর, আরাধনার কথা বল,
তুমি প্রগৈতিহাসিক কালের সূচনা তার আগ্রগতির কথা বল,
তুমি কালের ক্রমবিন্যাস, মুক্ত ধারার বিবর্তনের কথা বল,
তুমি কালের বুকে লিপিবদ্ধ স্মৃতিকথা, ইতিহাসের কথা বল,
তুমি সভ্যতা,দ্রহকাল, মহাকাল, এই কালবেলার কথা বল,
এ সময় এখন পণ্যবাদী, আত্মকেন্দ্রিক, মোহের মায়া জালে বন্দি;
মৌনতার জালে বিদ্ধ হয়েছে আত্ম চেতনা, ন্যয়- নীতিবোধ,
তুমি ছিঁড়ে ফেল সেই জাল, ছড়িয়ে দাও সত্য জাগতিক বোধ।
তুমি উন্মোচন কর কান্নার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি,পাঁজর ভাঙ্গার শব্দ,
যত বঞ্চিত, লাঞ্ছিত বুকের গ্লানি বয়ে আনো তোমার কবিতায়,
তুমি স্বতন্ত্র হও, তুমি বিদ্রোহী হও কবি একাগ্র চিত্তে।
তুমি তো অন্ধ নও হে কবি-
তুমি দেখেছো জয়নুল আবেদীনের আঁকা সেই দুর্ভিক্ষের ছবি-
যে ছবি কথা বলে,যে ছবি অশ্রু আনে অক্ষিগোলকে-
তুমি সেই ভাষা আনো, সেই কথা বল তোমার কবিতায়।
বিদ্রোহী কবির ঐ বিদ্রোহের আগুন জ্বালো তোমার কবিতায়।
ত্যাগের মহিমায় যে বিপ্লবীরা আজও অমর তুমি তাঁদের কথা বল।
তুমি বিপ্লবী হয়ে ওঠো আপন শক্তিতে অপশক্তির বিরুদ্ধে।
নষ্ট রাজনীতির মোড়ক ছিঁড়ে ফেল তোমার কবিতার ঝংকারে।
তুমি আমৃত্যু প্রতিবাদ কর প্রতিবাদের ভাষায় প্রতিবাদীদের মত,
তোমার কবিতায় তুমি আনো দিনমুজুর,কর্মঠ শ্রমিকের ঘাম-
হাতুড়ি,শাবল,কোদাল,নাঙলের কথা, দুঃখ,জরা,আর্তনাদের কথা।
তুমি যুদ্ধের কথা বল, জয়ের কথা বল,পরাজয়ের বিস্মরণের কথা বল।
তুমি সাধারন মানুষের কাতারে গিয়ে দাড়াও হে কবি-
তুমি মুক্তির কথা বল ।
মস্তিস্কের চোরাগলি পথে হয় শব্দ কথার বিক্ষিপ্ত সমাগম।
পৃথিবীর মোহজাল আমাকে ভাবায় প্রেম নিয়ে-
আমি লিখি স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা আর সহস্র আকুলতার কথা,
কিন্তু বিবেক সম্মুখে এসে দাড়ায়, জিজ্ঞাসু কণ্ঠে বলে-
কি লেখ কবি, স্বপ্নময় রুপকথা? প্রেমের কবিতা?
আমি উত্তরে বলি হ্যাঁ, কেননা প্রেম অমর, শাশ্বত।
বিবেক তাচ্ছিল্লের হাসি হেসে বলে-
তুমি বোকার স্বর্গে আছো কবি, আছো মোহে, বিবভ্রমে।
বর্ণিল স্বপ্নের ভগ্ন রুপ কি তুমি দেখনি? দেখনি মরিচিকা?
নিযুত উপমায় যে নারীকে নিয়ে এত লেখা সেকি শুদ্ধ,পবিত্র?
শুধু শুদ্ধলিপি কেন পূজা কর? পড়োনি কালিমার স্বরলিপি?
হে কবি-
তুমি কি তৃষ্ণার্ত প্রেমিক? তুমি কি ছলনাময়ী নারীর পূজারী?
নাকি তুমি বিক্রি হওয়া মেরুদণ্ডহীন পুরুষ আথবা উন্মাদ?
যদি শুদ্ধতা থেকে থাকে তা আছে শুধু ঈশ্বরের বুকের অভিধানে।
ভেবে দেখ কবি আর একটি বার।
সঙ্কুচিত হল ভুরু তারপর নত হয়ে এলো মাথা আমার,
অবনত মস্তকে কম্পিত কণ্ঠে আমি প্রশ্ন করি কে তুমি?
আমি বিবেক! আমি তোমার সত্য অস্তিত্ব, তোমার পূর্ণ-
আত্মা-স্বত্বার অটুট কেন্দ্র। দেহামনে আমি সদা জাগ্রত।
আমার বিদ্রূপে তুমি নিশ্চুপ থেকনা বসে , জেগে ওঠো-
জেগে ওঠো হে কবি-
তুমি সৃষ্টির কথা বল,তুমি একক, মৌলিকতার কথা বল,
তুমি সৃষ্টিচারী একেশ্বর,পরমেশ্বর, আরাধনার কথা বল,
তুমি প্রগৈতিহাসিক কালের সূচনা তার আগ্রগতির কথা বল,
তুমি কালের ক্রমবিন্যাস, মুক্ত ধারার বিবর্তনের কথা বল,
তুমি কালের বুকে লিপিবদ্ধ স্মৃতিকথা, ইতিহাসের কথা বল,
তুমি সভ্যতা,দ্রহকাল, মহাকাল, এই কালবেলার কথা বল,
এ সময় এখন পণ্যবাদী, আত্মকেন্দ্রিক, মোহের মায়া জালে বন্দি;
মৌনতার জালে বিদ্ধ হয়েছে আত্ম চেতনা, ন্যয়- নীতিবোধ,
তুমি ছিঁড়ে ফেল সেই জাল, ছড়িয়ে দাও সত্য জাগতিক বোধ।
তুমি উন্মোচন কর কান্নার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি,পাঁজর ভাঙ্গার শব্দ,
যত বঞ্চিত, লাঞ্ছিত বুকের গ্লানি বয়ে আনো তোমার কবিতায়,
তুমি স্বতন্ত্র হও, তুমি বিদ্রোহী হও কবি একাগ্র চিত্তে।
তুমি তো অন্ধ নও হে কবি-
তুমি দেখেছো জয়নুল আবেদীনের আঁকা সেই দুর্ভিক্ষের ছবি-
যে ছবি কথা বলে,যে ছবি অশ্রু আনে অক্ষিগোলকে-
তুমি সেই ভাষা আনো, সেই কথা বল তোমার কবিতায়।
বিদ্রোহী কবির ঐ বিদ্রোহের আগুন জ্বালো তোমার কবিতায়।
ত্যাগের মহিমায় যে বিপ্লবীরা আজও অমর তুমি তাঁদের কথা বল।
তুমি বিপ্লবী হয়ে ওঠো আপন শক্তিতে অপশক্তির বিরুদ্ধে।
নষ্ট রাজনীতির মোড়ক ছিঁড়ে ফেল তোমার কবিতার ঝংকারে।
তুমি আমৃত্যু প্রতিবাদ কর প্রতিবাদের ভাষায় প্রতিবাদীদের মত,
তোমার কবিতায় তুমি আনো দিনমুজুর,কর্মঠ শ্রমিকের ঘাম-
হাতুড়ি,শাবল,কোদাল,নাঙলের কথা, দুঃখ,জরা,আর্তনাদের কথা।
তুমি যুদ্ধের কথা বল, জয়ের কথা বল,পরাজয়ের বিস্মরণের কথা বল।
তুমি সাধারন মানুষের কাতারে গিয়ে দাড়াও হে কবি-
তুমি মুক্তির কথা বল ।
1 মন্তব্য(গুলি):
Online Baccarat with a Live Dealer – Play Baccarat - Free Casino
Baccarat 바카라 사이트 is one of the most popular table games with 온카지노 a live dealer on both casino and online poker sites. It can be 샌즈카지노 played with live players,
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন