প্রবীণদের সমাবর্তন বক্তৃতা আর আমি

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

প্রবীণদের সমাবর্তন বক্তৃতার মর্মার্থ এখন ভাবায় আমায়, তাই-
সময়ের স্মৃতিচারনের  মাঝে ভেসে ওঠে আমার সত্য বর্তমান।
সমাধান চাই! তবুও ভুলের সাথে নিত্য বসবাস এই অপরাধীর,
উপেক্ষিত হয় বানী তারপর অনুশুচনার সাথে হয় সৌজন্য সাক্ষাত।
এই এতটুকুই ! তবে কি ভাবনাগুলো বুকে জমে ওড়াবে না পতাকা?
ক্ষমাশীলতাকে ধারনে প্রবীণদের সাথে আমি নিজেও বলেছি বহুবার-
ক্ষমা পরম ধর্ম। আমি হতে চেয়েছি ক্ষমাশীল, নিঃস্বার্থ মানুষ-
কিন্তু পারিনি, পারিনি আমি আজও।
 
আমি হতে চেয়েছি ত্যগি, দিতে চেয়েছি অহমিকা, হিংসার বিসর্জন,
চেয়েছি আজই সুচনা হোক উন্মুক্ত জ্ঞানের দীপ্তাংশু বিচরন।
খুলে যাক সব বদ্ধ দুয়ার, আত্মকেন্দ্রিকতার ঐ শক্ত ব্যপ্ত জাল,
নিরঙ্কুশ ভালোবাসা উড়াতে চেয়েছি মাটির বুক হতে অন্তরীক্ষে।
ছড়াতে চেয়েছি পৃথ্বীতলে স্বর্গধামের ঐ নেশাময় কাঞ্চনের সুগন্ধি,
শত বিচ্ছেদ ব্যথা ভুলে চেয়েছি প্রনয় পঞ্চবর্ণের মুগ্ধতার বাঁধন।
আমি চেয়েছি মুছে যাক ঘৃণা, ঘৃণ্যতার স্বরলিপি,পচা- নষ্ট ইতিহাস,
স্বপ্ন হোক সত্য, রুপান্তরিত হোক নেক ইচ্ছা - বাস্তবতায়।

আমি চাই মনে প্রানে কিন্তু অপরিণত বয়স আমাকে বিক্ষিপ্ত করে,
অনুভুতির বাঁধন ছিঁড়ে আমি আশ্রয় খুঁজি নিষিদ্ধ সময়ের কোলে।
উপার্জিত উপলব্ধি বেমালুম হারিয়ে যেতে চায় নগ্ন অন্ধকারে,
এই নষ্ট সময় করতে চায় আমার মস্তিস্কের চিন্তার শিরচ্ছেদ ।
তবুও আমি যেতে চাই স্রোতের বিপরীতে ভাঙ্গাচোরা মাস্তুল হাতে,
কেননা মনুষ্যত্বের কথা আমি শুনেছি অগণিত প্রবীণের কণ্ঠে।
তাই প্রবীণদের সমাবর্তন বক্তৃতার মর্মার্থ এখন ভাবায় আমায়,
আত্মগ্লানির উপাখ্যান মুছে আমি গড়তে চাই আমার সত্য বর্তমান।


একটি ধুলোমাখা রাস্তা...

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

কোথায় সমান্তরাল সেই ধুলোমাখা রাস্তাটা?
যেখানে নক্ষত্রের ভাষায় কথা বলে শিশির, ঝরা পাতা।
অবোধ্য কত অন্ধকার রচে গেছে ধুলোর মহাকাব্য-
কত রোদ্দুর এসে খেলেছে, মেলেছে ডানা সমর্পিত ভঙ্গিতে।
স্বরচিত সুরে বাতাসের গীতি সমাহার, বুলবুলির চুপকথা-
ভেজা দূর্বাঘাস, যেখানে দাড়িয়ে দেখা যায় সীমান্তের আকাশ।  

ছায়া সুনিবিড় সবুজের মমতায় স্মৃতিও কোমল, প্রানবন্ত-
খেলা করে হলুদ প্রজাপতি, নিচে পুরনো পায়ের চিহ্ন।
একান্ত নীরবতা শুধু অশ্রু ভেজা হৃদয়ের নীলাভ ডানায়,
যে পথে নির্ভয়ে হেঁটে গেছে পিপিলিকা, সাদা পায়রার দল।
অব্যক্ত নিযুত কথামালা যেখানে বসে আছে প্রতীক্ষায়,
যেখানে নেই অজানা দিগন্ত, শঙ্কায় ভরা শুভ্র অনুভূতি।

মহাশূন্যসম শূন্যতা খুঁজে পাবে নীড় সবুজ চোখের আঙিনায়,
ভুপাতিত ঘুড়িও উড়ে যাবে একা,জলে ভাসবে সুতো ভরা নাটায়।
ক্ষণজন্মা পতঙ্গের সাথে খেলা করে মহাকাল হাতে নিয়ে ধুলোলিপি,
যেখানে দুঃখ নিরর্থক, অনাকাঙ্ক্ষিত কষ্ট বলে কিছু নেই।
কোথায় সমান্তরাল সেই ধুলোমাখা রাস্তাটা?
আমি খুঁজে ফিরি প্রতি ভোরে, অন্ধকারে- নিশ্চুপ একা।।


 

কবি, কবিতা ও বিবেকের কথা

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

একটি কবিতা লিখব বলে সহসা নির্ঘুম সময় কেটে যায়,
মস্তিস্কের চোরাগলি পথে হয় শব্দ কথার বিক্ষিপ্ত সমাগম।
পৃথিবীর মোহজাল আমাকে ভাবায় প্রেম নিয়ে-
আমি লিখি স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা আর সহস্র আকুলতার কথা,
কিন্তু বিবেক সম্মুখে এসে দাড়ায়, জিজ্ঞাসু কণ্ঠে বলে-
কি লেখ কবি, স্বপ্নময় রুপকথা? প্রেমের কবিতা?
আমি উত্তরে বলি হ্যাঁ, কেননা প্রেম অমর, শাশ্বত।

বিবেক তাচ্ছিল্লের হাসি হেসে বলে-
তুমি বোকার স্বর্গে আছো কবি, আছো মোহে, বিবভ্রমে।
বর্ণিল স্বপ্নের ভগ্ন রুপ কি তুমি দেখনি? দেখনি মরিচিকা?
নিযুত উপমায় যে নারীকে নিয়ে এত লেখা সেকি শুদ্ধ,পবিত্র?
শুধু শুদ্ধলিপি কেন পূজা কর? পড়োনি কালিমার স্বরলিপি?

হে কবি-
তুমি কি তৃষ্ণার্ত প্রেমিক? তুমি কি ছলনাময়ী নারীর পূজারী?
নাকি তুমি বিক্রি হওয়া মেরুদণ্ডহীন পুরুষ আথবা উন্মাদ?
যদি শুদ্ধতা থেকে থাকে তা আছে শুধু ঈশ্বরের বুকের অভিধানে।
ভেবে দেখ কবি আর একটি বার।

সঙ্কুচিত হল ভুরু তারপর নত হয়ে এলো মাথা আমার,
অবনত মস্তকে কম্পিত কণ্ঠে আমি প্রশ্ন করি কে তুমি?
আমি বিবেক! আমি তোমার সত্য অস্তিত্ব, তোমার পূর্ণ-
আত্মা-স্বত্বার অটুট কেন্দ্র। দেহামনে আমি সদা জাগ্রত।
আমার বিদ্রূপে তুমি নিশ্চুপ থেকনা বসে , জেগে ওঠো-

জেগে ওঠো হে কবি-
তুমি সৃষ্টির কথা বল,তুমি একক, মৌলিকতার কথা বল,
তুমি সৃষ্টিচারী একেশ্বর,পরমেশ্বর, আরাধনার কথা বল,
তুমি প্রগৈতিহাসিক কালের সূচনা তার আগ্রগতির কথা বল,    
তুমি কালের ক্রমবিন্যাস, মুক্ত ধারার বিবর্তনের কথা বল,
তুমি কালের বুকে লিপিবদ্ধ স্মৃতিকথা, ইতিহাসের কথা বল,
তুমি সভ্যতা,দ্রহকাল, মহাকাল, এই কালবেলার কথা বল,  

এ সময় এখন পণ্যবাদী, আত্মকেন্দ্রিক, মোহের মায়া জালে বন্দি; 
মৌনতার জালে বিদ্ধ হয়েছে আত্ম চেতনা, ন্যয়- নীতিবোধ,
তুমি ছিঁড়ে ফেল সেই জাল, ছড়িয়ে দাও সত্য জাগতিক বোধ।     
তুমি উন্মোচন কর কান্নার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি,পাঁজর ভাঙ্গার শব্দ,
যত বঞ্চিত, লাঞ্ছিত বুকের গ্লানি বয়ে আনো তোমার কবিতায়,
তুমি স্বতন্ত্র হও, তুমি বিদ্রোহী হও কবি একাগ্র চিত্তে


তুমি তো অন্ধ নও হে কবি-
তুমি দেখেছো জয়নুল আবেদীনের আঁকা সেই দুর্ভিক্ষের ছবি-
যে ছবি কথা বলে,যে ছবি অশ্রু আনে অক্ষিগোলকে-
তুমি  সেই ভাষা আনো, সেই কথা বল তোমার কবিতায়।
বিদ্রোহী কবির ঐ বিদ্রোহের আগুন জ্বালো তোমার কবিতায়।

ত্যাগের মহিমায় যে বিপ্লবীরা আজও অমর তুমি তাঁদের কথা বল।
তুমি বিপ্লবী হয়ে ওঠো আপন শক্তিতে অপশক্তির বিরুদ্ধে।
নষ্ট রাজনীতির মোড়ক ছিঁড়ে ফেল তোমার কবিতার ঝংকারে।
তুমি আমৃত্যু প্রতিবাদ কর প্রতিবাদের ভাষায় প্রতিবাদীদের মত,
তোমার কবিতায় তুমি আনো দিনমুজুর,কর্মঠ শ্রমিকের ঘাম-
হাতুড়ি,শাবল,কোদাল,নাঙলের কথা, দুঃখ,জরা,আর্তনাদের কথা।
তুমি যুদ্ধের কথা বল, জয়ের কথা বল,পরাজয়ের বিস্মরণের কথা বল।
তুমি সাধারন মানুষের কাতারে গিয়ে দাড়াও হে কবি-
তুমি মুক্তির কথা বল
   



আমি চাই এক টুকরো শুদ্ধতা

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪


রঙ্গিন কাগজে মোড়া ভ্যালেন্টাইন কিমবা-
নিষ্প্রাণ ফুলের ভালবাসা আমি চাই না,
অনর্থক মিথ্যে প্রত্যাশায় খুজিনাকো প্রেম,
তবে চুলচেরা বিশ্লেষণে বন্দী নেই আমার চাওয়া,সত্য স্বপ্ন,
তাই,হৃদয়ে হৃদয় স্পর্শের বাসনাকে পুষি বক্ষ কুঠিরে।
নীল জলে নয়,আমি সিক্ত হতে চাই তোমার নিগুড় নোনা অশ্রুতে ।   
আমি আকাশ,সাগর কিমবা বিমুগ্ধ নায়াগ্রার জলপ্রপাত চাই না,
আমি চাই এক টুকরো শুদ্ধতা। 

প্রজাপতির রঙ্গিন ডানা,রঙ্গিন গোধূলি কিমবা-
রংধনু আমায় নাইবা দিলে,তাতে দুঃখ নেই,
নাইবা পেলাম সন্ধ্যার আকাশে জ্বলে ওঠা সুখতাঁরা,
জোনাকির মিটিমিটি আলোর মাঝে খুঁজি না তোমায়-
খুঁজি না আর স্বপ্নবোনা মেঘের ডানায়,মায়াবী ঐ চাঁদের আলোয়।    
ঝর্ণাধারায় নয়,আমি অবগহন করতে চাই তোমার অমিয় প্রেমধারায়।
আমি পাহাড় ছোঁয়া মেঘ কিমবা শূন্যে দোলা ব্যবিলনের উদ্যান চাই না,
আমি চাই এক টুকরো শুদ্ধতা। 

জলরং ছোঁয়া রঙ্গিন ক্যানভাস কিমবা-
কোন রঙ্গিন ছবি আমি চাই না,

চাই না রূপকথার সব রং এনে রাঙ্গাতে জীবন,
হলির রঙ্গেও রাঙ্গাতে চাই না আমার এই ধুলোমাখা মুখ,
শুধু-ধরার বুকে কাদা মাটি মাখা স্বপ্ন আঁকি,তবে তা সমুদ্র তীরে নয়।
সম্মুখের উঠোন জুড়ে স্বপ্নগুলো পড়ে থাকে ঘাস ফুলে,উষ্ণ মাটিতে

আমি চাই না অরোরা বোরিয়ালিস কিম্বা
অস্ট্রালিস মেরুজ্যোতির আভা,
আমি চাই এক টুকরো শুদ্ধতা।   
  

আজ বসন্ত

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

নব উচ্ছ্বাসে আবার ফুটেছে ফুল-
মুছে গেছে শীতের জীর্ণতা, ক্লান্তি আর বিষণ্ণতা,
নিশ্চুপ প্রকৃতি জেগে উঠেছে হিমেল পরশে
জোয়ার এসেছে নবীন হৃদয়ে-
ফুলে ফেঁপে গর্জে উঠেছে নব জীবনের ঢেউ ।
লেগেছে দোলা সবুজে সবুজে-
কচি কচি পাতার প্রবর্তনে, পথে- প্রান্তরে।
ভবঘুরে পাখি কোকিলের কণ্ঠে ভেসে আসে-
হৃদয় ছোঁয়া ভালোবাসার সুর,
মুঠো মুঠো ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ে বাঁধ ভেঙ্গে -
পলাশ,শিমুল,কৃষ্ণচূড়া আর চরাচর থেকে চরাচরে।

আজ বসন্ত-
আজ বসন্ত এসেছে হৃদয়ে হৃদয়ে-
এসেছে তরুন প্রানের উচ্ছ্বাসে
প্রসারি প্রেমের পরাগে পরাগে ।
নানান প্রসাধনের মোহে প্রকৃতি আজ মাতোয়ারা,
দিকে দিকে ব্যাকুল হৃদয়ে শুধু প্রেমের বন্দনা -
মুগ্ধতায় বিভোর চারিদিক ।
আজ-মুছে যাক সব গ্লানি-
মুছে যাক ব্যথিত ক্যালেন্ডারের সব পাতা,
শুন্য হৃদয়ও আজ তৃপ্ত হোক ফাগুনের ফুলেল শুভেচ্ছায় ,
শুভ ফাল্গুনের অমিয় ধারায় ।।

এ আমার একান্ত ব্যস্ততা, নিরেপেক্ষ খেলা

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

কোন জয় নেই, কোন পরাজয় নেই, তবু খেলে যাই আমি-
ধোঁয়া নিয়ে এ আমার একান্ত ব্যস্ততা, নিরেপেক্ষ খেলা।
আমি হাসি,আমি কাঁদি, আমার ভাবনার আকাশ হয় ধোঁয়া,
ধোঁয়ার মাঝে বৃত্তর মাঝে দেখি আমার শৃঙ্খল,বিশৃঙ্খল পৃথিবী।
আমার পৃথিবী বিলীন হয় উদাসী বাতাসের আনমনা নৃত্তে,
চাতকের মত দৃষ্টিবিদ্ধ আমার অনিয়ন্ত্রিত অনুভুতির আকাসে।
বিষাক্ত নিকোটিনের গন্ধে আমি আবিষ্কার করি বিশুদ্ধ ভালোবাসা,
নৈঃশব্দের মাঝে আমি খুঁজি প্রেম তরঙ্গ- দোলায়িত মস্তিষ্কে।
অক্রিত্তিম আগুন হাতে নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখি, আঁকি আল্পনা,
আমি মায়া খুঁজি দুঃসময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভাঙ্গা বিশ্বাস নিয়ে
জানি আনাড়ি কবি আমি,হাতে কিমবা মুখে নেই মুগ্ধতার লেশ,
বিদীর্ণ মুখের আঙিনায় বাসা বেঁধেছে আজ হতাশা, মৃত আবেগ।
যদিও নির্দোষ আমার চোখ, আমার দৃষ্টিতে পরিপূর্ণ শুদ্ধতা তবুও-
হৃদয়ে জমা অনুপুঙ্খ আমাকে পোড়ায় ভীষণ,তাই জ্বালা করে চোখ।
চোখ রগড়ে আমি দেখি ভাঙ্গা নৌকা, ছেড়া পাল, ঠুনকো বৈঠা,
আমি পারি না বাইতে আর, ধেয়ে আসে বর্ষার মেঘ,বেদনার প্লাবন।
অশ্রুসিক্ত নির্ঘুম রাত,রৈদ্রদগ্ধ দুপুরে স্ফীত ব্যথা আমাকে দেয় নির্বাসন,
আমি ধোঁয়া নিয়ে খেলি একাগ্র চিত্তে নির্বাসনে একা।

প্রতিবিম্বের বিবর্ণ কাব্য–১১

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

অমর প্রেমের কাব্য রচিত হয়েছে ধীরে ধীরে ভালবাসার রং দিয়ে। আবেগ অনুভুতির আদান প্রদানে সৃষ্ট সেতু বন্ধনে ছিল পাখির পালক ছোঁয়া স্বপ্ন। নন্দিত চিৎকার ঐ দূর পাহাড় হতে ফিরে এসে হত মাতোয়ারা।উচ্ছাসের ডানায় ভর করে আমরা ভেসে বেড়াতাম অলৌকিক সব স্বপ্ন-মেঘে মেঘে আর স্বপ্নমেঘের আড়ালে লুকানো ছিল একটি পাণ্ডুলিপি।
তারপর একদিন শতাব্দীর বুকে জন্ম নেওয়া শ্বেত পাথরে খোদায় করে লেখা হল নাম। অনেক সযতনে তৈরি হল নীড়ের প্রাচীর। লাগানো হল কামিনী ফুলের গাছ। পথের ধারে কিছু লতা উঠেছে জেগে।
এপিটাফের ঝাপসা লেখাগুলো পড়েছি আগেও।আজ পড়তে যেয়ে বাঁধ ভেঙ্গে গেল চোখের। জল এসে ভিজিয়ে দিল মুখের মরু আঙিনা। কামিনি ফুলের ডালে ঝুলে আছে কিছু দীর্ঘশ্বাস আর অমর প্রেমের কাব্য তা দেখেনি কেউ।

আমি ভালো আছি

রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

আমি ভালো আছি এ আমার সৌজন্য বোধের ব্যক্ত কথা,
আস্তাকুরে চলা জীবনের মাঝেও সরব কণ্ঠের মিথ্যাশ্রয়।
হৃদয়ে হৃদয় রেখে কে শোনে পরাজয়ের গ্লানির ধ্বনি কিমবা প্রতিধ্বনি,
কে শোনে ভাঙ্গা পথে শপথ ভাঙ্গার কান্না, গুমড়ে কাঁদা আর্তনাদ।
আলো আঁধারের আসা যাওয়ার মাঝে যে আঁধারের বুকে বন্দী-
সেও দিনের আলোতে দৃশ্যমান, মুখে তার ক্রিত্তিম হাসি।
নিষ্ঠুর নিয়তির কাছে যে অসহায়, যে অনাদরে সাজায় দুখের বাসর-
যে যন্ত্রণা বুকে নিয়ে পুড়ে পুড়ে অংগার, সেও মুখে অবলীলায় বলে-
আমি ভালো আছি।

ব্যস্ত সবাই শুধু নিজেকে নিয়েই নিজের গড়া পৃথিবীর প্রান্তরে,
কে শোনে আন হৃদয়ের হাহাকার,দগ্ধ বুকের অগ্নিবীণা সুর,বানী।
নীরব প্রানের নীরব ব্যথা শুধু নীরবেই জ্বলে জ্বলে নিভে যায়,
যে পাখি বেঁধেছিল বাসা পাঁজরের নীড়ে সুখে সেও চলে যায় নীরবে।
পড়ে থাকে ছিন্ন পালক জীর্ণ বিরানভূমির আঙিনা জুড়ে তা-
দেখে না কেউ। রৈদ্র-জলে ভিজে পুড়ে হয়তো আজ তা মলিন।
যার যন্ত্রণাগুলো আজ ভারি নিঃশ্বাসের সাথে বের হয়ে বাতাসে ভেসে বেড়ায়-
সেও গ্রহন করে সেই বাতাসের অক্সিজেন। বুক ভরে শ্বাস নিয়ে বলে-
আমি ভালো আছি।

অপেক্ষার প্রহর গুনে গুনে কালি পড়া চোখে যার আজ ঘুম আসে-
সেও স্বপ্ন দেখে, ঘোরের মাঝে বলে ওঠে আমরা স্বপ্নচুড়ার প্রহরী।
আমাদের বাসর হবে সুখ রঞ্জন ছোঁয়া আবেগী শিশির মেখে,
আধো ঘুমে যখন পৃথিবীর সবাই তখন আমরা শ্বাপদের মত নিশাচর হব।
টুকরো টুকরো শুভ্র জোছনায় ভিজে ভিজে আমারা ছুঁয়ে নেব শীতল অনুভূতি।
আমরা ছুঁয়ে দেব পৃথিবীর এ প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত হাতে হাত রেখে,
কপালে এঁকে দেব প্রনয়ের প্রত্যয়, নিখাদ ভালোবাসার অস্পষ্ট চিহ্ন।
উদাসী নদীও জানে তা কতখানি মিথ্যে, দুঃস্বপ্নের মরিচিকা,
ভাঙ্গে ঘুম, ভাঙ্গে স্বপ্ন দুঃস্বপ্নের অবরন, স্মৃতির আয়নায় ভাসে মুখ।
নিজেকেই মনে হয় চির অচেনা তবুও সেও মুখে বলে-
আমি ভালো আছি।

অভাব গোপন করে যে বলে এইতো বেশ আছি ডাল ভাতে, সাধারন পোশাকে-
নাইবা পেলাম আভিজাত্যের মোড়ক, সোজা সাপটা জীবনই-
আমার ঢের ভালো । যে হয়তো দিতে পারেনি তার প্রিয় মানুষকে-
শখের উপহার, সেও ভালো থাকে তবে তা মিথ্যে সান্ত্বনায়।
যে জন্মপরাজিত সে জয়ী হবেই বা কিভাবে , নিত্য সঙ্গী তার নিষ্ঠুর নিয়তি,
শুধু প্রতীক্ষায় কেটে যায় অমূল্য দিনগুলি আশায় বুক বেঁধে।
হয়তো একটু সহানুভূতির মাঝেই খুঁজে ফেরে সুখ শত দুখের মাঝেও,
বেদনা অশ্রু হয়ে এলে লুকিয়ে তা নিমেষেই সেও বলে সব জড়তা ভেঙ্গে-
আমি ভালো আছি।
   
ভালো থাকা কি লৌকিক নাকি অলৌকিক আশ্চর্যের বিষয় নাকি সত্য?
নাকি এ কেবলই আপেক্ষিক, উপেক্ষিত কষ্টের শিলালিপি?
যে জানে না এসব কিছুই হয়তো সে অল্পতেই তুষ্ট,ভালো আছে সে,
তবে সে কি অবুঝ? সে কি শিশু? নির্বোধ? নাকি সে উন্মাদ?
আমি দেখেছি ঝরা ফুলও সুবাস বিলায়, আবার তা পিষ্ট হয়-
যে পাখি গান গেয়ে যায় সুখের  শুধু সে-ই জানে তা কতখানি সন্ত্রস্তের।
নিরন্তর ছুটে চলা জীবনের মাঝে যে স্বকীয়তা হারিয়ে ক্ষণে ক্ষণে-
বদল করেছে রং, করছে অভিনয় প্রতিনিয়িত, সেও বলে-
আমি ভালো আছি। 

প্রশ্নটা কতটুকু মুলক, অমুলক কিমবা প্রয়োজনীয় নাকি অপ্রয়োজনীয়-
তার কিছুই হয়তো আমি জানি না। তবুও এসে যায় বার বার মনে-
এই অনিশ্চিত জীবন-মৃত্যুর মাঝামাঝি দাড়িয়ে আমরা কি চাই, কি পাই আর -
কি অপূর্ণতা। নাকি এ প্রশ্ন কেবলই অবান্তর?
এই মিথ্যে সুখের মাঝে  অগনিত স্বাদ-বিস্বাদ কিমবা বিষাদে-
কেটে যাচ্ছে জীবন, জীবনের দিনগুলি একে একে তবুও বেঁচে আছি-
হয়তো এই-ই বেশি। কত কিছুই বলতে চেয়ে তা পারিনি,বিক্ষিপ্ত মনে ব্যথা ওঠে।
দেখি পথের শেষ সীমা সম্মুক্ষে,আজও কিছুই করা হয়নি শুরু তবুও বলি-
আমি ভালো আছি।

ভালো আছি আমি,আমরা,আমরা সকলেই বলে যাচ্ছি তা অবিরত,
উপরে রঙ্গিন ব্যণ্ডেজে মোড়া পরিমার্জিত কিন্তু ভিতরে জ্বালা, ভিতরে ক্ষত।
ঘাত প্রতিঘাত দুঃসহ যন্ত্রণায় কাতর মানুষও বলে আমি ভালো আছি,
যুদ্ধের অবসানে বিদ্ধস্ত শরীর নিয়ে বিজয়ী যোদ্ধাও বলে আমি ভালো আছি,
রৈদ্রদগ্ধ হয়ে ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে সে শ্রমিক বলে আমি ভালো আছি,
অনাহারে থাকা সন্তান নিয়ে সে মাও বলে আমি ভালো আছি,
ছিন্নমূল আশ্রয়হীন মৌলিক সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশুরাও বলে ভালো আছি,
নিপীড়িত ক্ষুব্ধ নাগরিক, আসহায় সাধারন জনতাও বলে-.
আমরা ভালো আছি,

বিষণ্ণ সন্ধায় একাকী আনমনা সে নারীও বলে আমি ভালো আছি,
যে ভালোবাসা হারিয়ে বুকে হাহুতাস নিয়ে বেঁচে আছে সেও বলে ভালো আছি,
বেদনায় নীল হওয়া নীলাভ মানুষ, রক্তাত্ত মানুষও বলে ভালো আছি,
মনস্তাপে কাটে যার অষ্টপ্রহর, দিবালোক সেও বলে আমি ভালো আছি,
যে সংসার বিরাগী সেও পায়ে ধুলো মেখে বলে আমি ভালো আছি,
যে ফিরে আসে ঘরে সুখে দুখে ঘোলাটে জীবনে সেও বলে আমি ভালো আছি,
অতি গর্হিত মানুষের মুখেও শুনি ভালো থাকার কথা, বলে- ভালো আছি,
জীবিকার তাগিদে অথবা ভাগ্যের পরিহাসে যে আজ পতিতা সেও বলে-
আমি ভালো আছি।

দার্শনিকের দৃষ্টিতে যখন বিরক্তির রূপরেখা তখনও সে বলে ভালো আছি,
আমৃত্যু গবেষণা করে যে পাইনি অবসর,বিদায় বেলায় সেও বলে ভালো আছি,
রংতুলি হাতে শূন্য ক্যনভাস নিয়ে অতৃপ্ত সে শিল্পীও বলে ভালো আছি,
যে ব্যর্থ কবির একটি কবিতাও হয়নি ছাপা সেও বলে আমি ভালো আছি,
যখন সর্বহারা মানুষের মুখেও শুনি ভালো থাকার কথা তখন ভাবনা আসে,
তবে কি ভালো আছে সবাই ?
নাকি এ আমার দৃষ্টিভ্রম,কর্ণভ্রম নাকি এ ব্যক্ত কথা নিছক উপলব্ধির?  
ভালো থাকা যদি সত্যিই হয় উপলব্ধির তবে তা অস্বীকার করার-
ধৃষ্টতা নেই আমার, আমিও বলব সবার কণ্ঠের সাথে সুর মিলিয়ে ভালো আছি-
আমি ভালো আছি।

প্রতিবিম্বের বিবর্ণ কাব্য-১০

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

রংমশালের আলোয় আজ আনন্দ আয়োজন। কপালে রক্ত চন্দন আর হাতে মেহেদীর রং। লোহিত নেত্রের জল নিয়ে খেলছ হোলি খেলা, শরীরে লেগে আছে আজও সেই দাগ,আছে নোনা অনুভূতি তবু সবই উপেক্ষিত। আজ মিথ্যার খোলসে তৃপ্ততার মাঝে বসবাস সমস্ত সত্যকে অস্বীকার করে। আপদ-মস্তক আবরিত আজ মিথ্যে অহংকার আর হেয়ালি ইচ্ছার রঙ্গিন মোড়কে।

প্রীতিদর্শনের নানা আয়োজনে আজ তোমার ব্যস্ততা। নিদ্রাহীন প্রহর কাটে না এখন আর কামিনী ফুলের ঘ্রানে। কামনার মাতাল ঘ্রানে হও মাতোয়ারা, বেসামাল।শুধু নিদ্রিত আমার স্বপ্ন আর তোমার সত্য অনুভূতি। আজ উষ্ণ বিছানায় তুমি শীতল হও ক্ষণিকের পরিনত সুখের বৃষ্টি ধারায়।

একদিন ভূলুণ্ঠিত হবে সব মিথ্যে অহংকার, গড়া তাসের দুর্গ, হেয়ালি ইচ্ছের দুরন্ত ঘুড়ি। সেদিন পদদলিত হবে সব। তোমার রতিগৃহ হবে বিশৃঙ্খল। তোমার অন্তর্বাসে সেদিন আঁকা থাকবে বিষণ্ণতা,আঁকা থাকবে শঙ্কার ছায়া। সেদিন জৈবিক সুখ হবে যন্ত্রণা। মনস্তাপে কাটবে তোমার প্রতিটি প্রহর, প্রতিটি মুহূর্ত। তোমার বুক জুড়ে থাকবে সেদিন মুঠো মুঠো দীর্ঘশ্বাস।  

বরুদা তুমি শুনতে পাচ্ছ?

রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

বরুদা তুমি শুনতে পাচ্ছ?
তির তির করে কেঁপে ওঠা বাতাস আজ ফিরিয়ে দিচ্ছে-
সেই শ্লোগান। রাত মশালের উষ্ণতা।
তোমার বুক পকেটে রক্তে ভেজা চিঠিটা হাতে নিতেই-
মুখটা আমার রক্তিম হয়ে উঠেছে, তাকিয়ে দেখ-
আমি কাঁদছি না, আমি নিভছি না,
আমি জ্বলে উঠছি বারুদের মত ।
আমার ভিতরে উঠছে কালবৈশাখী ঝড়ের মাতন,
আমি গর্জে উঠছি উত্তাল ঢেউ এর মত


আমার রক্তে মিশে আছে দেখ সংগ্রামী চেতনা,

দেখ আজও লালিত আমার প্রানে-
সেই বাংলা ভাষার সরলিপি, সেই প্ল্যাকার্ড হাতে-
মাতৃ ভাষার অস্তিত্তের দাবি। তুমি শুনতে পাচ্ছ?
বড় ব্যথা ওঠে যখন অবজ্ঞায় দূরে সরিয়ে দেয় ওরা-
ভাষার সকীয়তা, ভাষার বৈভব।
ভিতরে ভিতরে আমি বিদ্রোহী হয়ে উঠি-
আমারা হৃদয় চত্তরে নামে প্রানবন্ত প্রতিবাদের মিছিল,
বুকের ব্যনারে লিখি ভাষার যথাযত মূল্যায়ন চাই।  
 
দিনের কাছে আমি পড়ন্ত বিকেল-
নতুন প্রজন্মের কাছে হয়ত পঙ্গু,
অকার্যকর,
কিন্তু-
আমার প্রানের সুর, চুপকথা, গান-
আজও অম্লান। আজও আমার কণ্ঠ হয়নি মলিন ।     
কোথায় তুমি? এত অভিমান কেন তোমার?
বরুদা ! বরুদা তুমি কি শুনতে পাচ্ছ?

আমার বুকের স্পন্দন,আমার নিভৃত আকুতি-
আমার অব্যক্ত কথার গুমড়ে কাঁদা আর্তনাদ,
আমার চিৎকার করা ধ্বনি  কিমবা প্রতিধ্বনি
। 


রসনার রৈদ্রদগ্ধ কৃষ্ণচূড়া তলায় দেখ আজ-
বিক্রি হচ্ছে আদর্শলিপি, লাল চুড়ি, সবুজ ফিতা,
পতাকা, হাসিমাখা সস্তা প্রেমের গল্প, উপন্যাস,
আমার পরনে নেই নীল শাড়ি, খোঁপায় নেই-
বেলি ফুলের মালা,সাদা শাড়িতেই এখন আমার-
নিত্য আসা যাওয়া। আমি আজও কবিতা লিখি-
গোটা গোটা বাংলা অক্ষরের ফুল দিয়ে।
কিন্তু একটি কবিতাও ছাপা হয়নি কোথাও,
সত্যি বলছি-আমার কবিতাগুলো সব তোমাকে ঘিরে,
তুমি কি শুনবে বল সব ?          

বিকেল হতেই আজ আকাশের কি হল বলত?
অবিরাম অশ্রু ফেলে আমাকে শান্ত করে দিতে চাইছে।
আকাশের নীলগুলো সব হারিয়ে গেছে -
হারিয়ে গেছে কাশফুল ছোঁয়া টুকরো সাদা মেঘের দল,
গুমোট মেঘে মেঘে নেমে এসেছে অন্ধকার।
আচ্ছা! আমার বুকের ভেতরটা হঠাৎ শূন্য হয়ে এলো কেন?
কোথায় তুমি? তুমি কি শুনতে পাচ্ছ না আমার কথা?
নিঝুম রাতের নির্ঘুম জোনাকির সাথে কথা বলে বলে আমি-
ঘুমিয়ে পড়ি ।তারপর নেমে আসে শুভ্র সকাল।      

ঘোমটা দেওয়া জানালায় দেখ রোদ উঠেছে,
দেখ শিশির পড়েছে তাজা সবুজ ঘাসের কোলে।
এ তোমার প্রতিশ্রুতির রাঙা ভোর নয় জানি,
জানি সম্মুখের নির্জন রাস্তায় হয়ত উড়ে যাবে কাক
শূন্য এ পথ জুড়ে থাকবে শুধু ঘোর লাগা সময়-
আর এক জোড়া ধুসর-কালো চোখ।
যে চোখে জ্বালা, যে চোখে তৃষ্ণা-
যে চোখে ভেসে ওঠে আজও সেই রক্তাত্ত রাজপথ
নিশ্চুপ ঘুমন্ত মুখের ছবি।  


মনে বিবর্ণতার মহাদেশ

শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ব্যস্ত নগরীর বুকে আজ আমি নির্বাসিত –
যাপিত জীবন আর আপন স্বত্বা বিপ্রতীপ,
কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের খুব কাছাকাছি আমার বসবাস,
তবুও, দীর্ঘশ্বাস রাখতে পারিনা আর লুকিয়ে।
আজ আমি নির্বাক,অসহায়,পরিত্যাজ্য,
হাজারও মানুষের ভিড়ে আমি বড় একা ।
নন্দিত নরকের নগ্ন আগুন আমার দুচোখের আঙিনায়,
নিরজন এই হৃদয় অরণ্যে ডাকে না আর কোন পাখি।
হয় সম্মত সম্ভাষণ,সম্ভোগ,সম্মিলন-
তবুও নিজেকে খুঁজে পাই নিরেট পাথরের ছায়ায়।
চিরাচরিত নিয়মে চলছে কালের দোলায়িত পেন্ডুলাম,
চলছে রঙের মিছিল-রঙমহলের ভিতরে ও বাইরে।
স্বরূপে ফিরে আসে না আর সাদা বক, সাদা ফুল,
ধূর্ত কাকও প্রতারিত হয় , ঠোঁটে লেগে থাকে শুধু রঙ।
সবই মিথ্যে, বিষাক্ত, হারিয়ে গেছে সব শুদ্ধতা,
আমিও দাড়িয়ে আছি বুকে রঙ মেখে,মনে বিবর্ণতার মহাদেশ।