জানিনা কতটা পথ আর বাকি

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০১৪

আর কতটা পথ এগুলে মিলবে গন্তব্য ঠিক জানিনা-
তপ্ত রোদে পুড়েছে মুখের আঙ্গিনা, পায়ে ধুলোর চিহ্ন,
আকস্মাৎ চিড় ধরে নগ্ন মাটির বুকে, আমি তাকিয়ে দেখি-
আমি বিলাপ করি, হৃদয়ে আরও স্পষ্ট হয় দুঃখবোধ।
আমি চিৎকার করি- শুনতে পায় না কেউ, শুধু প্রতিধ্বনি জানিয়ে দেয়-
অমীমাংসিত অধ্যায়ের শেষ অনুচ্ছেদ।

কোন কথোপকথন নেই, নেই স্থিরতাও-
অস্থির, চঞ্চল, নির্দ্বিধায় শুধু একা একা পথ চলা,
কাল্পনিক সেই সময় হয়তোবা অধরা, মিথ্যে উপাখ্যান,
বুকের পাঁজরে জমেছে পচা প্রেম, তাই শোকও বিক্ষিপ্ত।
হাতের বক্ররেখা আমাকে চালিত করে ভ্রান্ত পথে, আমি হই দিকভ্রান্ত পথিক-
বুঝি জীবনের ব্যর্থতার সরল সমীকরণ।

কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন আমাকে কুরে কুরে খায় তাই-
মাঝে মাঝে পালাবার পথ খুঁজি গন্তব্যহীন দিক্বিদিক,
আমি মুখ লুকায় আঁধারে, দেখি সম্মুখে বিবস্ত্র মনুষ্যত্ব বোধ,
ভিখারির মত আমি ফিরে আসি তবুও করি মিথ্যে অভিনয়।
শুভ্রতার অভিশাপ আমাকে পোড়ায় ভীষণ, আমি ক্ষতবিক্ষত হই সর্বাঙ্গ জুড়ে-
তাই অনুভবে মিশে থাকে শুধু দগ্ধ যন্ত্রণা।

কখনোবা দৃষ্টি নিক্ষিপ্ত হয় আমার ছায়ামূর্তির দিকে-
যেখানে বন্দী আমি, যেখানে আমার আজন্ম বসবাস।
আমি ফিরে তাকাই শূন্য বাতাসে, অপলক অবাক নয়নে,
আমাকে জাপটে ধরে হতাশা, জন্মান্তরের সঙ্গায়িত শূন্যতা।
নিকষ কালো রাতের একাকীত্ব আমাকে সঙ্গ দেয় উজ্জ্বল দিনের আলোতে-
আমি কথা বলি মৃতপ্রায় মানুষের মত।

তবুও বাঁচার গর্বে বার বার আত্মহারা হই-
বাণিজ্যিক ঋণ শোধ-পরিশোধের অংক কষি।
স্পষ্ট অস্পষ্ট স্বাক্ষরে মেটাতে চাই সব দেনা পাওনা-
জীবনের ক্ষুধার্ত যত অভিলাস।
আর কতটা সময়,আর কতটা পথ এগুলে মিলবে গন্তব্য ঠিক জানিনা -
জানিনা কতটা পথ আর বাকি ।