ছেড়া পাতার কাব্য (মর্মর-২)

বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৪

ভেসে আসে বেদনা বিধুর সুর-
যা ঝরা পাতাদের কান্না,আসে উদাসী বাতাসের অদৃশ্য বাঁশি থেকে,
ম্রিয়মান আলোর মাঝে ক্লান্ত ধূসর ছায়া পড়ে যা গন্ধহীন,অস্পর্শী
এখানে খুঁজে পায় ওরা অমরত্বের স্বাদ,দ্বিধাহীন চলার পূর্ণ স্বাধীনতা
তবুও আক্ষেপে কেটে যায় বেলা,আকুলতা শুধু প্রানের স্পন্দনের।
অন্ধকারের মাঝে লুকাতে পারেনা ওরা, ক্ষণে ক্ষণে কেঁদে ওঠে স্বরে-
জোনাকিরা দিয়ে যায় আলো, দিয়ে যায় সমবেদনার সাতকাহন
তবুও প্রলম্বিত হয় দুঃখ বোধ গাড় অন্ধকারের মলিন কিনারায়।
আবার পথ চলা এক বুক বিষণ্ণতা সাথে নিয়ে নিরুদ্দেশের পথে
ক্ষণে ক্ষণে ভেসে আসে অস্পষ্ট আর্তনাদ, মানুষের ব্যথিত আবেগ।

এখানেও ব্যথা ঝরে! ছিড়ে যায়- স্বপ্ন সুতো, বন্ধন, অদৃশ্য মায়া,
তাই নিস্তব্ধ, নিঃসাড়, ঝরা পাতার দল, বিস্ময় চোখের আঙ্গিনায়।
শুধু ব্যথা না, মানুষও ঝরে যায় জীবনের শাখা হতে চির দিনের তরে,
কখনো আসেনা ফিরে এই পথে আর তাই এখানেও হাহাকার ওঠে।
অব্যক্ত কথার আড়ালে থেকে যায় আরও কিছু প্রশ্ন, কিছু বিস্ময়,
থেকে যায় কিছু নোনা স্বাদ, কিছু অর্থহীন বাক্যের অতৃপ্ত আনাগোনা।
বোবা সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র গুলো শুধু নিশ্চুপ সাক্ষী থাকে এই দৃশ্যের,
স্তদ্ধ চোখেও জল আসে তবে তা অদৃশ্য, অস্তিত্ব যার শূন্যতায়।

উপলব্ধির চাদরে বাসা বাঁধে সান্ত্বনা আর কিছুটা বিধ্বস্ত প্রশান্তি,
প্রচেষ্টার সাথে যুদ্ধ হয়, মুহূর্তেই কিছু দুঃখ ভুলে চলে সম্মুখের পথে
যেখানে দাড়িয়ে আছে ঝরে যাওয়া মানুষের ছায়া, অতৃপ্ত সব আত্মা
ঝরা পাতা আর ঝরা মানুষের শুরু হয় যাত্রা
ছেড়া দ্বীপের উদ্দেশ্যে
তারা চিৎকার করে বলে আরও সীমাহীন ব্যথা আছে পৃথিবীর প্রান্তরে-
আরও আছে রোদন, ছেড়া অধ্যায়, ছেড়া পাতার আসমাপ্ত মহাকাব্য ।